আমার উপরে, তোমার উপরে, আর ঐ কাপুচিন মঠবাসীদের ’পরে চিকিৎসা-বিদ্যার কিছু জানা সূত্রের নির্ভরে, ঘড়ির মতন নাগাড়ে, বিরতিহীন সোল্লাসে বাড়ে নাসাতরু দিনদিন। রাতারাতি তারা বেড়ে চলে অনুখন প্রতি নাগরিকে, বিশেষ বা সাধারণ, সান্ত্রির তথা মন্ত্রীর ’পরে, ধনী তথা গরিবের, প্যাঁচার মতন নিশি-ডাক ছেড়ে ছেড়ে, ঠাণ্ডা এবং প্রায়-নিষ্ক্রিয়, মেরে ফাটিয়ে দিয়েছে মুষ্টিযোদ্ধা যাকে, অথবা থেঁৎলে গিয়েছে যা দরোজায়, আর আমাদের স্ত্রী-জাতি পড়োশিদের সেগুলি যে, আহা, তুরপুন হয়ে ঢোকে কত দুয়ারের চাবির ছিদ্রে, হায়! গোগল-মরমি, ঝঞ্ঝেটে আত্মাটি ধ্যানে জেনেছিল ইহাদের খুঁটিনাটি। আমার ইয়ার বুগিন্্স্, মদের ঘোরে স্বপ্ন দেখল, যেন গির্জার চূড়ার মতন চোখা হয়ে, ঝাড়বাতি-বালতি-গামলা টুটে, জাগিয়ে এবং বিঁধে ফেলে যত অবাক্ সিলিং, পরে গেঁথে মেঝেগুলি-খোঁটে রিসিট যেমন গেঁথে রাখা হয়-তারপর একরোখা উঠে গেল নির্বাক্ উপরে, আরও উপরে তার আপনার নাক। ‘এর মানেটা কী?’ পরদিন প্রাতে আমাকেই শুধাল সে। ‘হুশিয়ারি কেয়ামতের: হয়তো,’ আমি বলি, ‘তোর বই- পত্রের হ’তে পারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শীঘ্রই।’ তিরিশ তারিখে বন্ধু-বেচারা ঢুকে গেল কারাগারে। কেন, হে প্রধান নাক-বিধায়ক, কেন বাড়ে আমাদের নাকগুলি, আর কমে আয়ু আমাদের? কেন এই ছোট মাংসপিণ্ড রাতের অন্ধকারে আমাদের শুষে ভ্যাম্পায়ার বা সাক্শন-পাম্প্-হেন খালি করে একেবারে? এস্কিমো জাতি, এরকম শোনা যায়, মুখের বদলে নাক দিয়ে চুমু খায়। আমাদের মাঝে এখন অবধি চলন হয় নি এর।